ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতার প্রভাবে দেশের পুঁজিবাজারে তৃতীয় দিনেও দরপতন চলছে। সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১৮.৭৪ পয়েন্ট বা ১.৮৪% পড়ে যায়।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টায় সূচকে ৬ হাজার ৩৩৫ পয়েন্ট ছিল। পরে সূচক সামান্য উঠলেও আবার পতন শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় সূচকে ছিল ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ৮২ পয়েন্ট বা ১.২৮% কম।
রবিবার সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইএক্স কমে যায় ৫৭.৮৮ পয়েন্ট, সেদিন প্রায় আড়াইশ শেয়ারের দাম কমে যায়।
ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে সোমবার সকালেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেলে ঢাকার পুঁজিবাজারে ভর করে আতঙ্ক। শেয়ার বিক্রির চাপে ডিএসইএক্স এক দিনেই ১৮২.১২ পয়েন্ট বা ২.৭৪% কমে যায়।
শতাংশের হিসাবে এটা ছিল গত ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। সোমবার লেনদেন হওয়া ৯৬% কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে যায়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত শেয়ার লেনদেন হয় ৩২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার।
সে সময় পর্যন্ত এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির এবং কমেছে ২৬১টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দর।
একই দিনে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারের সূচকও বড় পতন হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৫৩ পয়েন্ট বা ১.৩৩% কমে ১৮ হাজার ৭৩৬.১২ পয়েন্টে নেমে আসে। ওই সময় পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয় মোট ৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার।
মোট লেনদেন হওয়া ১৬৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ১৪টির দর বাড়ে, কমেছে ১৩৮টির এবং ১১টির দর ছিল অপরিবর্তিত।