ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৫১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০৭ জন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে বেশি হতে পারে। শনিবার জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ মিশন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
হতাহতদের বেশির ভাগই গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। তাই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে তুমুল লড়াই চলছে এমন অনেক এলাকা থেকে তথ্য পেতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর। এছাড়া হাতে আসা অনেক তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতাও এখনও নিশ্চিত নয়। সংস্থাটি বলেছে, হতাহত সংখ্যা প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে বেশি হতে পারে।
এদিকে শনিবার রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভোলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে মানবিক করিডর তৈরির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের দাবি, মস্কো যুদ্ধবিরতি বা মানবিক করিডরের ঘোষণা- কোনোটিই মানছে না। শহর দুটিতে হামলা অব্যাহত রয়েছে। ওএইচসিএইচআর বলছে, ভোলনোভাখা শহরে শত শত মানুষকে হতাহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
নয় দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের দশম দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। শহরটি ঘিরে রেখে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।