পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনা সদস্য ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তীব্র সংঘাতে অন্তত ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন এবং নিখোঁজ আছেন ৯ সেনা। এই সংঘাতে ৭০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মালির সরকার। শুক্রবার সকালের দিকে মালির মনদোরো গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সরকারি বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, শুক্রবার সকালের দিকে ওই সামরিক ঘাঁটির কাছে একটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসীরা। বিস্ফেরণে কয়েকজন সেনা সদস্য হতাহত হন। তারপরেই গোলাগুলি শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে।
হামলাকারী এই সন্ত্রাসীরা ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। তবে তারা কোন গোষ্ঠীর জঙ্গি তা স্পষ্ট করা হয়নি। আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেট- দুই গোষ্ঠীই সক্রিয় মালিতে; উভয় গোষ্ঠীই সমানতালে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে দেশটিতে।
অবশ্য শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করে কোনো গোষ্ঠী এ পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি।
২০১২ সালের দিকে মালিতে কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের উত্থান ঘটে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার অনুসারী এই সন্ত্রাসীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মরুভূমির বিশাল এলাকা দখল করে নেয়। পরে অবশ্য সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সেনা বাহিনীর সহায়তায় সেই এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় মালির সরকার।
কিন্তু তার পরের বছর থেকেই ফের সংগঠিত হওয়া শুরু করে সন্ত্রাসীরা এবং বর্তমানে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কিছু এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ নাইজার, বুরকিনা ফাসোতেও তৎপরতা আছে আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটপন্থী এই সন্ত্রাসীদের।
২০১৩ সাল থেকে মালির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত হচ্ছে সন্ত্রাসীদের। সেই যুদ্ধে এতদিন ফ্রান্স সহযোগিতা করলেও গত মাসে মালি থেকে নিজ সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সের সরকার।
সূত্র: রয়টার্স