রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির প্রভাবশালী ছয় ব্যক্তি ও তিনটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপান।
বৃহস্পতিবার পুতিন ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই চলেছে। তাদের অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ‘সামরিক আগ্রাসন’ চালাচ্ছে। অবিলম্বে ইউক্রেনে রুশ হামলা বন্ধের আহ্বান করলেও পুতিন হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেননি।
জাপানের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুতিনের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রয়েছেন।
মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের কারণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণে সম্মত হয়েছে তার সরকার।
এ ছাড়া, রাশিয়ার ৪৯টি কোম্পানির নিকট পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে জাপান।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি রাশিয়া। তবে, আর্থিকভাবে রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনে হামলা শুরু হলে পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসবে তা তারা জানত। কিন্তু বর্তমানে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যা রাশিয়ায় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।