যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে এক টেলিফোন আলাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধ চলমান থাকার এই সময়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আলাপের সময়, রাশিয়ার আক্রমণের সময় থেকে জেলেনস্কির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন জনসন।
জনসন আশ্বাস দিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্য ও এর মিত্রদের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহায়তা যাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবেন তিনি। দুই নেতাই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবারের লড়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন। আকাশ ও মাটিতে তাদের রাশিয়ার আক্রমণের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর মাটিতে চারদিক থেকে গোলা এসে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান একসঙ্গে এসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। ইউক্রেনের সেনার দাবি, তারা রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার এবং একটি ড্রোন ধ্বংস করতে পেরেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভে দ্বিতীয় দিনেও লড়াই হয়েছে। তবে তার তীব্রতা আগের দিনের থেকে কম ছিল। তবে খারকিভের লড়াই ছিল খুবই তীব্র। রাশিয়া সেখানে বিমান থেকে সমানে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান থেকে গোলা ছুঁড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনের ভিতর ঢুকে পড়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনাও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করছে।
আলোচনায় সম্মতি
রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় রাজি হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়ার পরই ইউক্রেন আলোচনায় রাজি হয়। পুটিনের এই নির্দেশের অর্থ হলো, প্রয়োজন মনে করলে, রাশিয়া যে কোনো সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।
ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান
ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবেন। গোলাবারুদ তো দেবেনই তার সঙ্গে যুদ্ধবিমানও দেয়া হবে। জার্মানিও ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র দিচ্ছে।
ইইউ চায়
ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, তিনি চান ইউক্রেন ইইউ-তে যোগ দিক। একটি ফরাসি সংবাদ নেটওয়ার্ককে তিনি বলেছেন, ওরা আমাদেরই একজন। আমরা চাই, ওরা ইইউ-তে যোগ দিক।
সূত্র: বিবিসি ও ডয়চে ভেলে