ইউক্রেন শান্তি চায়, আলোচনায় প্রস্তুতঃ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

ইউক্রেন শান্তি চায়, আলোচনায় প্রস্তুত
ইউক্রেন শান্তি চায় এবং ন্যাটোর ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থানসহ অন্যান্য বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক।

খুদে বার্তায় রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‌‌‘যদি তারা ন্যাটোর ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে মস্কোতে বসে আলোচনা করতে চায়, সম্ভব হলে সেটি হওয়া উচিত। আমরা এতে ভয় পাই না। আমরা এটা নিয়েও কথা বলতে পারি।’

তিনি বলেন, শান্তির জন্য অবিরাম ইচ্ছার অংশ হিসাবে সংলাপে আমরা প্রস্তুত। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা ন্যাটো জোটের অংশ নয় ইউক্রেন। যদিও উভয় সংস্থায় যোগ দিতে চায় দেশটি। কিন্তু ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদান কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় মস্কো।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় ইউরোপের দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার আশ্বাসের পর নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করে ইউক্রেন।

- বিজ্ঞাপন -

২০১৪ সালে গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদকারীদের আন্দোলনের মুখে রাশিয়া-সমর্থিত ইউক্রেনের সরকারের পতন ঘটে। এরপর সামরিক অভিযান চালিয়ে কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া। একই সঙ্গে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সাথে লড়াইরত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন জানায় মস্কো।

এর সাত বছর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে রুশ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের বেশিরভাগ শহরে টানা হামলা, গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছে রুশ সৈন্যরা।

এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করলেই কেবল কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় মস্কো প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নব্য-নাৎসিরা ইউক্রেন শাসন করুক মস্কো তা চায় না। শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ সৈন্যদের প্রবেশের পর এসব কথা বলেছেন তিনি।

সের্গেই লাভরভ আরও দাবি করেছেন যে, রাশিয়া চায় ইউক্রেনের জনগণ স্বাধীন হোক এবং স্বাধীনভাবে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ থাকুক। তবে প্রতিবেশী এই দেশটি নব্য-নাৎসিদের শাসনে চলুক সেটি ক্রেমলিন কখনই চায় না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে গণতান্ত্রিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না মস্কো।

- বিজ্ঞাপন -

অন্যদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠের ডাইমার এবং ইভানকিভ শহরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। সেখানে রাশিয়ার বেশ কিছু সাঁজোয়া যান অগ্রসর হতে দেখা গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ইউক্রেনে পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৪৫০ সৈন্য নিহত হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!