ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য। পুতিনের এ ঘোষণার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালো। খবর বিবিসির।
জানা গেছে, সৌদি আরবের পর অপরিশোধিত তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে রাশিয়া। এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশও।
পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্র ঘোষণার পর সেখানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসতে শুরু করে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, তার দেশও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে। ব্যাংক, পরিবহন, গ্যাস, তেল ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ের ওপর থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।
জাপান সরকারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়ার ওপর। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। টোকিও পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন কিশিদা।
রাশিয়ার ওপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সবার আগে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে।
রাশিয়ার তিনটি ব্যাংক ও তিন ধনকুবেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে যদি আরও হামলা চালায় তবে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।