সকল প্রক্রিয়া শেষে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর সঙ্গে সাক্ষাত করে চূড়ান্ত দশ জনের নাম জমা দেবে অনুসন্ধান কমিটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনার আজই নিয়োগ হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে রাষ্ট্রপতির উপর। তিনি যখন চাইবেন তখনই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
২০১৭ সালে যেদিন সার্চ কমিটি নাম জমা দিয়েছিল সেদিনই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনার নিয়োগ দিয়েছিলেন। যেহেতু কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর বিদায় নিয়েছেন তাই সময় না নিয়ে আজই হতে পারে নতুন নির্বাচন কমিশন।
অনুসন্ধান কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, এবারও সিইসি হিসেবে সাবেক একাধিক আমলার নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে। যদিও অনুসন্ধান কমিটি এ নিয়ে কোনো কথা বলেনি। তবে কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সামরিক ও বেসামরিক সাবেক আমলা, সাবেক জেলা জজ, এবং শিক্ষকের নাম ১০ জনের তালিকায় রয়েছে। তাই কে হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কারা হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার সেই সিদ্ধান্তের জন্য সবাই এখন বঙ্গভবনের দিকে তাকিয়ে আছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়া এখন রাষ্ট্রপতির। তবে সংবিধানে বলা আছে, কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করে ১০টি নাম চূড়ান্ত করে তা সিলগালা করে রাখে অনুসন্ধান কমিটি। নাম চূড়ান্ত করতে অনুসন্ধান কমিটি নিজেদের মধ্যে সাতটি বৈঠক করেছে। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে।
এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর পাঁচ সদস্য হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এই কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। এরপরও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে আরও কিছু নামের প্রস্তাব আসে। সব নাম কাটছাঁট করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি। চূড়ান্ত তালিকা হতে সিইসি পদে সাবেক এক সচিবই আসছেন এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।