রামপালে খননকৃত সহ ২ টি বড় সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল সচলে সংলগ্ন প্রবাহমান মৃতপ্রায় সরকারি খালগুলি খনন করে বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি তা আবারও দখলে নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে। এ নিয়ে সচেতন গ্রামবাসীর সাথে দখলকারীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসী বাঁধা দিলে দখলকারীরা কয়েক জনকে মারপিট করে আহত করে। এতে মুহিদুল মোল্লা ও তার ভাই শহিদুল মোল্লা আহত হন। অভিযোগকারীরা জানান, উপজেলার পেড়িখালী ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য গিয়াস উদ্দিন ফকিরসহ আল আমীন ফকির, বাচ্চু শেখ, রুহুল মোল্লা, আলমগীর হাওলাদার, মোতাচ্ছিন বিল্লাহ, হানিফ হাওলাদার, হাসান হাওলাদার, গোলাম মাঝি, আঃ রব মোছাল্লী গংরা ছোট কাটালী মৌজার আদশীষে খাল ও ইয়াছিন খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত গিয়াস মেম্বরসহ সকলের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, খালগুলো দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয় যাতে বাড়ি ঘর ডুবে না যায়। তবে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে মাছ চাষ করেন বলে স্বীকার করেন ওই মেম্বার। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন। সরকারি খাস খাল দখল করে কাউকে মৎস্য চাষ করতে দেয়া হবে না। প্রবহমান নদী ও খাল দখলকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। উল্লেখ্য, ওই খাল দখল নিয়ে গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারী দৈনিক লোকসমাজ, সময় টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
রামপালে খননকৃত সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন