বিস্মৃতির অন্তরালেই কি থেকে যাবে নারী ভাষা সৈনিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ!

ভায়লেট হালদার
ভায়লেট হালদার - প্রধান সম্পাদক
11 মিনিটে পড়ুন

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন আমাদের অন্তরে বপন করেছিল স্বাধীনতার বীজ আর জাতীয়তাবোধ। শহীদ দিবস এবং প্রভাতফেরী এই দুইটি শব্দের সঙ্গে শিশুকাল থেকেই আমরা পরিচিত। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনায়  সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার- মাত্র কয়েকটি নাম লোকমুখে উচ্চারিত হয়। ফি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারী সকাল বেলা ভাষা শহীদদের স্মৃতির  উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জানাতে খালি পায়ে ফুল হাতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গাইতে গাইতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে যাই। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্য যারা দিয়েছিলেন প্রাণ। প্রশ্ন জাগে, জানতে ইচ্ছে করে শুধুমাত্র ভাইয়ের রক্তেই কি রাঙা হয়েছিল সেদিন পূর্ব বাংলার রাজপথ? সেদিন কি কেবলই ছেলে হারানোর শোকে শত মায়ের চোখ দিয়ে অশ্রুপাত করেছিল? ভাষা আদোলনে কোন মা বা বোনের রক্তে রঞ্জিত হয়নি বাংলার জনপদ? সেদিন আহত কন্যার বেদনায় কি অশ্রুপাত করেনি কোন মায়ের চোখ? ভাষা আন্দোলন সক্রিয় ভূমিকার জন্য কতজন নারী শিক্ষাঙ্গন থেকে বিতাড়িত বা রাজটিকেট হয়েছিলেন? সেদিন কতজন নারী বিবাহ বিচ্ছেদ এর নোটিশ পেয়েছিলেন? এসব তীব্রতম যন্ত্রণার কথা কে লিখে রেখেছে? ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা হয়েছে, গান, কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস। ভাষা আন্দোলনে নারীর অবদান কতটা গুরুত্ব পেয়েছে? কতজন নারীর নাম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের লেখকেরা তাদের লেখনীতে কেবল ভাইদের  বীরত্বগাঁথা প্রকাশ করেছেন। ভাষা আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, জীবন দিয়েছিলেন নিঃসন্দেহে তারা সকলেই শ্রদ্ধার সহিত চিরস্মরণীয়। কিন্তু সারাদেশে কতজন সেদিন (২১-২২ফেব্রুয়ারী,১৯৫২) আহত ও নিহত হয়েছিলেন, তার সঠিক সংখ্যা, তথ্য উপাত্ত কি আমাদের কাছে আছে? কেউ কি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন?

১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে নিয়ে প্রথম স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ সুলতান। সম্পাদক ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। ওই বইয়ে কবির উদ্দিন আহমেদ ‘একুশের ঘটনাপুঞ্জী’ নামে একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘শহীদদের লাশগুলো চক্রান্ত করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মেডিকেল হোস্টেলের ভেতর “গায়েবি জানাজা” পড়া হলো। …(পরদিন) সকাল নয়টায় জনসাধারণের এক বিরাট অংশ মর্নিং নিউজ অফিস জ্বালিয়ে দেয় এবং সংবাদ অফিসের দিকে যেতে থাকে। সংবাদ অফিসের সম্মুখে মিছিলের ওপর মিলিটারি বেপরোয়া গুলি চালায়। অনেকেই হতাহত হয় এখানে। ২৪ফেব্রুয়ারি ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদের’ পক্ষ থেকে ‘সর্বমোট ৩৯ জন শহীদ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়’ এবং একই সঙ্গে সরকারের কাছে একটি ‘নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন নিয়োগের’ আহ্বান জানানো হয়।’

‘মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশের গুলিবর্ষণ বৃহস্পতিবারেই ৭ জন নিহত: ৩ শতাধিক আহত।’ – সৈনিক পত্রিকা, ২৩ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২

২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। বহু লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে।’ – দৈনিক আজাদ, ২৩ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ 

- বিজ্ঞাপন -

‘বৃহস্পতি ও শুক্রবার মোট ৯ জন নিহত।’- কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২

গণতান্ত্রিক যুবলীগের চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক এবং সীমান্ত পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী রোগশয্যায় বসে ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ শিরোনামে কবিতায় লিখেছিলেন,

‘ওরা চল্লিশজন কিংবা আরও বেশি

যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে রমনার রোদ্রদগ্ধ

কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়…

- বিজ্ঞাপন -

চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে

আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের অসংখ্য বুকের রক্ত

রামেশ্বর, আবদুস সালামের কচি বুকের রক্ত…’

- বিজ্ঞাপন -

২০০৮ সালে লাহোর থেকে প্রকাশিত, পাকিস্তানের নির্বাসিত লেখক লাল খান তাঁর পাকিস্তানস আদার স্টোরি: দ্য ১৯৬৮-৬৯ রেভল্যুশন বইয়ে ভাষা আন্দোলন বিষয়ে লিখেছেন, ‘পুলিশের গুলিতে ২৬ জন নিহত এবং ৪০০ জনের মতো আহত হয়েছিলেন।’

ভাষা আন্দোলনে কত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং কারা হতাহত হয়েছিলেন তাদের সকলের নামধাম, পরিচয় সম্পর্কে বিশদ কোন তথ্য পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় না? সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের হতাহতের পরিসংখ্যান নাই কেন? পরবর্তীতে বিভিন্ন শহর অঞ্চলে জীবিত থাকা ভাষা সৈনিকদের মুখে ভাষা আন্দোলনের কিছু খণ্ডচিত্র আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু নামেমাত্র কয়েকজন নারীর নাম সেখানে উঠে এসেছে।

৩১ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ঢাকার বার লাইব্রেরিতে সর্বদলীয় সভায় ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহবুবা খাতুন তার বক্তৃতায় বলেছিলেন ‘বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি স্বীকার করিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে মেয়েরা তাদের রক্ত বিসর্জন দেবে।’

প্রথম থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবী নিয়ে থেকে নারী ও পুরুষ একই সঙ্গে আন্দোলন করেছে। সে সময়কার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, পাকিস্তান আর্মি ও পুলিশের তাক করা বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে ভাষার দাবির মিছিলগুলোতে নারীরা ছিল অগ্রভাগে। ভাষা শহীদ স্মরণে নারীরাই নির্মাণ করেছিলেন প্রথম শহীদ মিনার।  

১৯৪৮ সালের ঘটনা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘১১ মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস ঘোষণা করা হলো। জেলায় জেলায় আমরা বের হয়ে পড়লাম। আমি ফরিদপুর যশোর হয়ে খুলনাবরিশালে ছাত্রসভা করে ঐ তারিখের তিনদিন পূর্বে ঢাকা দিরে এলাম। ১১ই মার্চ ভোর বেলা থেকে শত শত ছাত্রকর্মী ইডেন বিল্ডিং, পোস্ট অফিস ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং শুরু করল। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কোন পিকেটিং এর দরকার হয় নাই। সকাল ৮টায় জেনারেল পোস্ট অফিসের সামনে ছাত্রদের ওপর ভীষণভাবে লাঠিচার্জ হলো। … কয়েকজন ছাত্রীও মার খেয়েছিল। … তখন পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার অধিবেশন চলছিল। …আনোয়ারা খাতুন ও অনেকে মুসলিম লীগ পার্টির বিরুদ্ধে (অধিবেশনে) ভীষণভাবে প্রতিবাদ করলেন।… যে পাঁচদিন আমরা জেলে ছিলাম, সকাল ১০টায় স্কুলের মেয়েরা (মুসলিম গার্লস স্কুল) ছাদে উঠে স্লোগান দিতে শুরু করত, আর ৪টায় শেষ করত। ছোট্ট ছোট্ট মেয়েরা একটু ক্লান্তও হতো না। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘বন্দি ভাইদের মুক্তি চাই’, ‘পুলিশি জুলুম চলবে না’-এমন নানা ধরনের স্লোগান। এই সময় শামসুল হক সাহেবকে আমি বললাম, ‘হক সাহেব ঐ দেখুন, আমাদের বোনেরা বেরিয়ে এসেছে। আর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা না করে পারবে না।’

আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু আরও লিখেছেন, ‘এরপর জিন্নাহর ঘোষণা-পরবর্তী সব কর্মসূচিতে নারীরা সরব ছিলেন। পরে বাহান্নর ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন কর্তৃক জিন্নাহর ঘোষণা পুনরাবৃত্তি হলে মহান একুশের মূল ক্ষেত্র তৈরিতে ছাত্রীরা সাহসী ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের ছাত্রীরা আন্দোলন চাঙ্গা করতে অর্থ সংগ্রহ ও রাতভর পোস্টার লেখার কাজ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার মূল কাজটা রওশন আরা বাচ্চুসহ আরো কয়েকজন ছাত্রীরা দ্বারাই হয়। কারণ ১০ জন করে বের হওয়া প্রথম দুটি দলের অনেকেই গ্রেপ্তার হন। ছাত্ররা ব্যারিকেডের ওপর ও নিচ দিয়ে লাফিয়ে চলে যায়। পরে তৃতীয় দলে বেরিয়ে ব্যারিকেড ধরে টানাটানির কাজ শুরু করেন ছাত্রীরাই। সেদিন পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে অনেক ছাত্রী আহত হন। এরমধ্যে রওশন আরা বাচ্চু, সারা তৈফুর, বোরখা শামসুন, সুফিয়া ইব্রাহীম, সুরাইয়া ডলি ও সুরাইয়া হাকিম ছিলেন।… সেদিন বর্তমান জগন্নাথ হলে চলা এসেম্বলিতে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য আনোয়ারা খাতুন প্রতিবাদী বক্তব্যে বলেন, ‘মিস্টার স্পিকার, পুলিশের লাঠিচার্জে মেয়েরা আহত হয়েছে। … মেয়েদের মোট আহতের সংখ্যা ৮ জন। মন্ত্রিসভা এমন একটা আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে যাতে নাকি মেয়েরা পর্যন্ত লাঞ্ছিত হয়েছে।’

ঢাকার বাইরেও বহু নারী ভাষা আন্দোলনে একাত্ম হতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জের মমতাজ বেগম এবং তার ছাত্রী ইলা বকশী, বেনু ধর ও শাবানীর মতো কিশোরীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। কারাবাসের সময়ে মমতাজ বেগমকে তালাক দিয়েছিলেন তার স্বামী। 

চট্টগ্রাম ও সিলেটে ছাত্রীরা আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে স্কুলের বালিকাদের অংশগ্রহণই ছিল সবচেয়ে বেশি। সিলেটের কুলাউড়ার সালেহা বেগম ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালীন ভাষা শহীদদের স্মরণে স্কুলে কালো পতাকা উত্তোলণ করার অপরাধে সেখানকার ডিসি ডি কে পাওয়ারের আদেশে স্কুল থেকে তাকে  তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে। এরপরে সালেহা বেগমের পক্ষে আর পড়ালেখা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। একই ভাবে ডিসি ডি কে পাওয়ারের আদেশে বরিশাল সদর গার্লস স্কুল থেকে হালিমা বেগমকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয়েছিলেন স্কুলের বড়দি শান্তিসুধা গুহ।

কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ববঙ্গে হরতাল পালিত হয়। মুসলিম লীগ সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ঢাকায় সেসময় আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আইন পরিষদে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং প্রথমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন, স্পীকার আব্দুল ওহাব খানের কন্যা সামছুন্নাহার এবং নলছিটির নন্দিকাঠী গ্রামের খান বদরুদ্দিন আহমেদের কন্যা সুফিয়া খান। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বরিশালে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন রানী ভট্টাচার্য। সেদিন ১৪৪ ধারা ভাঙার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জন ছাত্রীর মধ্যে লায়লা নূর, প্রতিভা মুৎসুদ্দি, রওশন আরা বেনু, ফরিদা বারি, জহরত আরা, কামরুন নাহার লাইলি, হোসনে আরা, ফরিদা আনোয়ার ও তালেয়া রহমান অন্যতম।

সে সময় সমাজ ছিল ধর্মীয় অনুশাসনে বাঁধা রক্ষণশীল এক সমাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্রীরা প্রক্টরের অনুমতি নিয়ে এবং প্রক্টরের সামনেই কোন পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে পারতো। সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার অগ্রাহ্য করে, সকল বাধাবিপত্তি দূরে ঠেলে বাংলা ভাষার দাবীতে নারীদের রাজপথে নেমে এসে মুসলিম লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছিল একটি বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। সেদিন ভাষা আন্দোলনে অংশ নিতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটা নিতে পিছপা হয়নি নারী। এককথায়, ভাষা আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

ভাষা আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা এবং অবদান একেবারে কম নয়, তবুও তারা রয়ে গেছে উপেক্ষিত। ভাষা আন্দোলন নিয়ে রচিত গান, প্রভাতফেরীর গান, কবিতায় স্থান পায়নি কেন সহযোদ্ধা নারীর কথা? ভাষা শহীদ স্মরণে  আমাদের গাইতে হয় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেরুয়ারী। ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া-এ ফেব্রুয়ারী! প্রভাতফেরীর জন্য নির্বাচিত এ গানেও ঠাই পায়নি ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী সহযোদ্ধাদের নিয়ে একটি লাইন। ভাষা আন্দোলনে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও কি কারণে মাত্র কয়েকজন মানুষকে বীরের উপাধি এবং পদক দিয়েও নারীসহ বাকীরা রয়ে গেল উপেক্ষিত এবং অন্তরালে? আমরা এবং পরবর্তী প্রজন্ম কি কোনদিন জানতে পারবো আমাদের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঠিক সংখ্যা?

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
প্রধান সম্পাদক
প্রধান সম্পাদক (২০২১-২০২৩), সাময়িকী
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!