বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তার বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের মান যাচাই করতে ৯ দিনের জন্য জার্মানি সফরে যাওয়ার একটি আদেশ (জিও) জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ আদেশকে ‘অসাবধানতাবশত ভুল’ বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ক্রয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অর্থাৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুসরণ করেই এ ধরনের কেনাকাটা সম্পন্ন করা হয়। এসব ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ সফরকে কেন্দ্র করে যে সরকারি আদেশ বা জিও জারি করা হয়েছিল তাতে ‘অসাবধানতাবশত ভুল’ রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জিওটি পড়লে বোঝা যাবে, আইজিপি মহোদয় ১ লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতে জার্মানি যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। ‘জিও’র শব্দগত বিন্যাসের কারণে এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার এ আদেশটি জারি করেন। ওই আদেশ অনুযায়ী, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের (ডাবল) শিপমেন্টের জন্য (জাহাজীকরণ) ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে’ অংশ নিতে আইজিপি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে ৯ দিনের সফরে জার্মানি যাবেন।