আগের সরকারগুলোর সময় বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কেউ যেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সুযোগ না পান সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সার্চ কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। ইসি গঠনে কমিটির সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকে আমন্ত্রিতরা এ আহ্বান জানান।
শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির এ বৈঠক হয়।
পরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈঠকে আমন্ত্রিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
আসিফ নজরুল বলেন, সার্চ কমিটি আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সবার কথাই মন দিয়ে শুনেছেন। আমাদের সবার একটা বিষয়েই জোর ছিল যে আগের কোনো সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগীরা যেন নতুন নির্বাচন কমিশনে সুযোগ না পায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সার্চ কমিটির বৈঠকে যারা ছিল আমাদের এখান থেকে তারা কেউ কোনো ধরনের নাম দেন নাই। আমরা শুধু বলেছি কীসের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত, কীসের ভিত্তিতে না নেওয়া উচিত।
‘আমরা সবাই কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সবারই বক্তব্য ছিল, নির্বাচন কমিশনে যারা সুযোগ পাবেন তারা যেন পূর্বে কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন। আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শতভাগ আস্থা রাখতে পারি না।
তিনি বলেন, বিশেষ সুবিধা বলতে, যারা বিভিন্ন সরকারের মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন বা সরাসরি সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক বলে পরিচিত এমন কাউকে বোঝানো হয়েছে।
‘তবে আমরা বলেছি, যে ১০ জনকে নির্বাচন কমিশনার বানানো হবে তাদের নাম যেন আগেই ঘোষণা করা হয়। তারপর হয়তো আস্থা-অনাস্থার বিষয় আসবে।’
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব নাম জমা দিয়েছে সার্চ কমিটিকে তা প্রকাশ করতে বলেছি। নামগুলো প্রকাশ করলে জানা যাবে আসলেই রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না। সার্চ কমিটি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন, আমাদের কথাগুলো রেকর্ড থেকে আবারও শুনবেন।
এর আগে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রথম দফায় সার্চ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ড. আসিফ নজরুল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. বোরহান উদ্দিন খান, ব্রতীর শারমিন মুরশীদ, ফেমার মুনিরা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাহফুজা খানম।