সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এত বছরেও এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। এ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সেটি জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
গত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। গত ২৪ জানুয়ারি ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৮৫তম তারিখ; কিন্তু এই তারিখেও অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি কর্মকর্তা। তাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী সময় ধার্য করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি।
মামলাটির অভিযোগপত্র জমা না দেওয়ায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো পিপি নিয়োগ দেওয়া যায়নি। আদালতে মামলাটি এখন দেখছেন জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও)।
মামলাটির জিআরও পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, আদালত থেকে ৮৫ বার সময় নিয়েও তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় হয়তো সময় বেশি লাগছে।