গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের জেব্রাদের নিয়মিত খাবারের মধ্যে ছিল এখানকার ঘাস। পরীক্ষাগারে চালানো নিরীক্ষণে সেই ঘাসের মধ্যে সীসা এবং বায়ু দূষণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত মাসে সাফারি পার্কের জেব্রাগুলোর মৃত্যুর অন্যতম কারণ এটি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও জেব্রা মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, “ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষায় আমরা পার্কের ঘাসে সীসার উপস্থিতি পেয়েছি। পার্কের আশপাশে শিল্প এলাকা রয়েছে। তাছাড়া, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জ্বালানি থেকে কালো ধোঁয়ার প্রভাব এবং একই সঙ্গে সীসার উপস্থিতিতে বিষক্রিয়া ঘটেছে। একদিকে বায়ুদূষণ আর অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতে নিউমোনিয়ায় ৮টি জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব জিনিস যেহেতু জেব্রার ওপর প্রভাব ফেলেছে, সেহেতু অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও প্রভাব রয়েছে। মৃত ১১টি জেব্রার মধ্যে তিনটির নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে গেছে। তবে কী রকম আঘাতে এমনটা হয়েছে তা নিশ্চিত না।”
বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডের এ সদস্য বলেন, “জেব্রাগুলো ভাই-বোন, বাবা-মায়ের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়েছে। একই পরিবারের মধ্যে প্রজনন ঘটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। জেব্রা ঘোড়া প্রজাতির প্রাণী। একই পাত্রে খাবার খেলেও বানর থেকে জেব্রার দেহে জীবাণু ছড়ানোর কথা নয়। মানুষের মতোই জেব্রার নিউমোনিয়া হতে পারে। তাছাড়া ব্যবস্থাপনায়ও সমস্যা থাকতে পারে। সবগুলো বিষয় চিহ্নিত করে প্রাণীর সুস্থতার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
পার্কে জেব্রাদের পরিচর্যায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এমন একটি পার্কে একজনমাত্র ভেটেরিনারী চিকিৎসক কিভাবে এতগুলো প্রাণীকে সামলাবে? জীবাণুর সংক্রমণ হলে একজনের পক্ষে সবগুলো প্রাণীর দেখাশোনা করা সম্ভব নয়।”
ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান জানান, ইতোমধ্যে ল্যাব পরীক্ষার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রয়ারি সকাল ১০টায় পার্কে মন্ত্রালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের বৈঠকে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, ১টি বাঘ ও ১টি সিংহ মারা যায়। এসব প্রাণী মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকার ২৬ জানুয়ারি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। এটি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও জেব্রা মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, “ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষায় আমরা পার্কের ঘাসে সীসার উপস্থিতি পেয়েছি। পার্কের আশপাশে শিল্প এলাকা রয়েছে। তাছাড়া, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জ্বালানি থেকে কালো ধোঁয়ার প্রভাব এবং একই সঙ্গে সীসার উপস্থিতিতে বিষক্রিয়া ঘটেছে। একদিকে বায়ুদূষণ আর অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতে নিউমোনিয়ায় ৮টি জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব জিনিস যেহেতু জেব্রার ওপর প্রভাব ফেলেছে, সেহেতু অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও প্রভাব রয়েছে। মৃত ১১টি জেব্রার মধ্যে তিনটির নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে গেছে। তবে কী রকম আঘাতে এমনটা হয়েছে তা নিশ্চিত না।”
বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডের এ সদস্য বলেন, “জেব্রাগুলো ভাই-বোন, বাবা-মায়ের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়েছে। একই পরিবারের মধ্যে প্রজনন ঘটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। জেব্রা ঘোড়া প্রজাতির প্রাণী। একই পাত্রে খাবার খেলেও বানর থেকে জেব্রার দেহে জীবাণু ছড়ানোর কথা নয়। মানুষের মতোই জেব্রার নিউমোনিয়া হতে পারে। তাছাড়া ব্যবস্থাপনায়ও সমস্যা থাকতে পারে। সবগুলো বিষয় চিহ্নিত করে প্রাণীর সুস্থতার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
পার্কে জেব্রাদের পরিচর্যায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এমন একটি পার্কে একজনমাত্র ভেটেরিনারী চিকিৎসক কিভাবে এতগুলো প্রাণীকে সামলাবে? জীবাণুর সংক্রমণ হলে একজনের পক্ষে সবগুলো প্রাণীর দেখাশোনা করা সম্ভব নয়।”
ডা. মো. আবু হাদী নূর আলী খান জানান, ইতোমধ্যে ল্যাব পরীক্ষার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রয়ারি সকাল ১০টায় পার্কে মন্ত্রালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের বৈঠকে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, ১টি বাঘ ও ১টি সিংহ মারা যায়। এসব প্রাণী মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকার ২৬ জানুয়ারি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে।(সূত্র ঢাকা ট্রিবিউন)