দেশের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো গুমের সঙ্গে জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, নানা কারণে অনেকে আত্মগোপন করে থাকেন, সেগুলোকে গুম বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী মেসেজ থাকবে- এ প্রশ্নে কামাল বলেন, ‘আমরা সব সময় বলি, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। যেখানেই গুম হচ্ছে, সেখানেই আমরা কিছু দিন পরেই তাকে পাচ্ছি। নানা কারণে আত্মগোপন করে থাকে, সেগুলোকে গুম বলে চালিয়ে দেয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুএকটি আত্মগোপনের ঘটনার তথ্য আমরা এখনো পাইনি। আমরা মনে করি, তাদের অচিরেই আমরা সামনে এনে দিতে পারব।’
বাংলাদেশে ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হওয়া’ নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আমেরিকান সিনেটররা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে বিচারবহির্ভূত হত্যা বৃদ্ধির অভিযোগ আনেন।
মার্কিন সিনেটররা ছাড়াও নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ), যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। এ নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর র্যাব এবং এর সাত সাবেক-বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা।
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কিছু ভুল তথ্যে জন্য হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে সংসদে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোন কোন লবিস্ট কার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছেন। কত টাকা দিয়েছেন। সবগুলো কিন্তু তিনি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এর পরে বোধ হয় আমাদের আর কিছু বলার থাকে না।
‘আমরা যেটা করছি, এই লবিস্ট নিয়োগে কীভাবে এখান থেকে টাকা পাঠাল সেটা আমরা খুঁজে বের করছি। আমরা মনে করি, যারা টাকা পাঠিয়েছেন তারাও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার এবং শিগগির তাদেরও আমরা সামনে আনবো’—বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসীর গুলিতে এক সেনাসদস্য নিহত হওয়ার প্রসঙ্গে টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড়ে কিছু সমস্যা আছে। সেনাবাহিনী কাজ করছে। এখানে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র কাজ করে। শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।