ঊনিশ শ একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেনোসাইড ওয়াচ’। গণহত্যার ৫০ বছর পূর্তিতে গত বৃহম্পতিবার সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গ্রেগরি এইচ স্ট্যানটন তাদের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেন।
এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিন পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড বা গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দেয় বিশ্বে গণহত্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন।
লেমকিন ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতির পর এলো জেনোসাইড ওয়াচের স্বীকৃতি। ধীরে ধীরে আরও আন্তর্জাতিক সংস্থা গণহত্যার স্বীকৃতি দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বীকৃতির জন্য আবেদনকারী শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর।
জেনোসাইড ওয়াচের গণহত্যার স্বীকৃতির ঘোষণায় বলা হয়, ‘জেনোসাইড ওয়াচ এই স্বীকৃতি দিচ্ছে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙালিদের ওপর যেসব অপরাধ করেছে, তার মধ্যে ছিল জোনোসাইড, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ।’
একই সঙ্গে ওইসব ঘটনাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকার করে নিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাসের আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত বছরের ডিসেম্বরে জেনোসাইড ওয়াচের কাছে ও ১৫ নভেম্বর লেমকিন ইনস্টিটিউটের কাছে আবেদন করেছিলেন তৌহিদ রেজা নূর।
এ ব্যাপারে তাওহিদ রেজা বলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত জেনোসাইডের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের জাতির জন্য একটি বড় অর্জন। এর সাথে জড়িত থাকতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।”
বিভিন্ন সংস্থার এমন স্বীকৃতি পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পথে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।