গাজীপুরে এক কলেজছাত্রীকে (১৭) আট দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চান্দনা-চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি থেকে আট দিন কোনাবাড়ি এলাকার জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্তরা হলো- রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার ডোমনামারা গ্রামের খোকন বিশ্বাস ওরফে শান্ত (৩৭), নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মহেশপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম আকন্দ (৩০) এবং রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের খোকন আলী (৩৭)।
ওসি আবু সিদ্দিক জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরী ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় বোরাক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। সে জিরাবো এলাকায় তার স্বজনদের সঙ্গে থাকে। দুই মাস আগে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে শান্তর পরিচয় হয়।
১২ জানুয়ারি শান্ত ওই কিশোরীকে কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলে। ওইদিন সন্ধ্যায় মেয়েটি কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে গেলে শান্ত ও তার দুই সহযোগী কৌশলে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে কোনাবাড়ি থানার উত্তর দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকার জাকির হোসেনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেদিন থেকে ১৯ জানুয়ারি রাত ১০টা পর্যন্ত শান্ত তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে অন্য অভিযুক্তরা প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
১৯ জানুয়ারি রাতে কিশোরী সেখান থেকে পালিয়ে জিরাবোর বাসায় ফিরে ঘটনাটি তার স্বজনদের জানায়। এরপর অভিযুক্তদের পুরো ঠিকানা ও পরিচয় সংগ্রহ করে সে। স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে মঙ্গলবার ভুক্তভোগী কিশোরী কোনাবাড়ি থানায় মামলা করে।
পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই চান্দনা-চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি শান্ত এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।