সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কিন্তু এ নির্বাচন এবং নতুন কমিটি কোনোটিই নিয়ে যেন থামছে না আলোচনা-সমালোচনা। ব্যাপার অনেকটা শেষ হয়েও হইলো না শেষ। ফল প্রকাশের পর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হ্যাটট্রিক করা জায়েদ ও তার প্যানেলের হয়ে কার্যকরী সদস্যপদে জয়ী চুন্নু ভোটারদের টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া অভিনেত্রী নিপুণ। এ ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিও জনসম্মুখে নিয়ে আসেন এই অভিনেত্রী।
আর তাই জায়েদ-চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি। অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত অভিনেত্রী নিপুণের দাবি, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই কাজ করেছেন জায়েদ খানের পক্ষে। তাই ফলাফল গেছে তার বিপক্ষে।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য অধিকার শাখার উপ-পরিচালক রকিব আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-তে বলা আছে, আমাদের নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচনে তদন্তপূর্বক অনিয়ম পাওয়া গেলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আমরা গঠনতন্ত্রকে বাইবেল হিসেবে ধরি। গঠনতন্ত্রে যদি আমরা সমাধান না পাই সেক্ষেত্রে আইনের কাছে যাই, দেখি যে আইনে কী বলা আছে।”
এদিকে, সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথগ্রহণের বাধ্যবাধকতা না থাকায় নিজের দায়িত্ব নিজেই বুঝে নিয়েছেন জায়েদ খান।
এক সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বলেন, “আমাদের গঠনতন্ত্রের কোথাও শপথের কথা উল্লেখ নেই। আমরা এটা করি জাস্ট ফরমালিটিজ।”
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, “যেহেতু সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে সেহেতু ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে একটু সময় লাগবেই।”