মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতু সংলগ্ন সড়কে দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথমে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে প্রাইভেটকারটি থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধারের করার সময় ঢাকাগামী অন্য একটি যাত্রীবাহী বাস উদ্ধারকারীদের ওপর তুলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরও তিন জন নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন। এর মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের বাঁচামারা এলাকায় মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারকে (ঢাকা মেট্রো-গ ১৩১৪৫৫) পেছন থেকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মো. খলিল মাতুব্বর (৫৮) নামের মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকার এক ব্যক্তি নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করতে থাকেন। এ সময় গোপালগঞ্জ থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস উদ্ধারকারী স্থানীয়দের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই বাঁচামারা এলাকার মোস্তফা শিকদার (৫৮), রোকেয়া বেগম (৪০) ও ভ্যানচালক মো. লিটু (৪০) নিহত যান।
গুরুতর আহত হয়েছেন প্রাইভেটকার চালক আশিকুর রহমানের মা শিরিয়া বেগম। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও আশিকুরকে শিবচরের পাচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাইভেটকার চালক আশিকুর বলেন, “আমি মাদারীপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম, পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাকে মেরে দেয়। পরে আরেকটি গাড়ি আমাদের গাড়ি ও স্থানীয় লোকজনের ওপর উঠিয়ে দিলে তারা মারা যান।”
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “খবর পেয়েই হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনায় মোট চার জন নিহত হয়েছেন।