বুস্টার ডোজ ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিরুদ্ধে ৯৫% সুরক্ষা বৃদ্ধি করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ইউকেএইচএসএ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রায় ৬০% সুরক্ষা দিয়েছিল। যা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর বেড়ে ৯৫% হয়েছে।
ইউকেএইচএসএ-এর তথ্য অনুযায়ী, বুস্টার ডোজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে উচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে।
জানা গেছে, ফাইজার-বায়োএনটেক বুস্টার ডোজ হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে ৯০% কার্যকারী ছিল, যদিও বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১০ থেকে ১৪ সপ্তাহ সপ্তাহ পর কার্যকারিতা কমে ৭৫%-এ নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, মডার্নার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর ৯ সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে কার্যকারিতা ৯০-৯৫% ছিল।
ইউকেএইচএসএ-এর টিকা কার্যক্রমের প্রধান ডা. মেরি রামসে বলেন, “এটি স্পষ্ট যে টিকা আমাদের সকলকে কোভিডের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে, বুস্টার ডোজ আমাদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু থেকে উচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করছে।”
ইউকেএইচএসএ আরও জানিয়েছে, তারা ব্রিটেন এবং ডেনমার্কে সম্প্রতি বৃদ্ধি পাওয়া ওমিক্রনের আরেকটি রূপ “বিএ পয়েন্ট টু”-এর বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার প্রাথমিক বিশ্লেষণ জারি করেছে এবং একই স্তরের সুরক্ষা লক্ষ্য করেছে।
ফলাফল থেকে জানা গেছে, “দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৫ সপ্তাহের পর বিএ পয়েন্ট ওয়ান এবং বিএ পয়েন্ট টু-এর ক্ষেত্রে কার্যকারিতা যথাক্রমে ৯% এবং ১৩% ছিল। বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর বিএ পয়েন্ট ওয়ান-এর ক্ষেত্রে ৬৩% এবং বিএ পয়েন্ট টু-এর ক্ষেত্রে ৭০% কার্যকারিতা লক্ষ্য করা গেছে।”