বাংলাদেশ ও রাশিয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের এইদিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার রাশিয়ান হাউসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সিলর ইক্যাতেরিনা এ. সেমেনোভা, রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতভ। অনুষ্ঠানে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত পিএইচডি ছাত্র বারেক কায়সারের লেখা ‘রাশিয়ায় বঙ্গবন্ধু’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ-রাশিয়ার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা।
রাশিয়ান দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সিলর ইক্যাতেরিনা এ. সেমেনোভা বলেন,
বাংলাদেশের জনগণের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন ও নতুন রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার বিশ^স্থ বন্ধু বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে একটি গেম-চেঞ্জার হতে চলেছে। এটির মধ্য দিয়ে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট যোগ করবে এবং বাংলাদেশের পরিবেশগত এজেন্ডাকে উন্নত করবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায়ও অবদান রাখছে রাশিয়া। দু’দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন ২০২১ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। সহযোগিতার পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা এবং সমতা সবসময়ই রাশিয়ান-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য উপাদান।
রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতভ বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মাধ্যমে দৃঢ়তর হবে। ‘রাশিয়া বঙ্গবন্ধু’ বইটিতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্ধ শতাব্দীর বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
রাশিয়ায় অধ্যয়নরত পিএইচডি ছাত্র বারেক কায়সার বলেন, বাংলাদেশের জন্মযুদ্ধ এবং লগ্ন থেকেই রাশিয়া আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কূটনীতির ভাষায় ‘আন্তরিক’। বাংলাদেশ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলমান সমান উষ্ণতায়। বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকার রাশিয়ান হাউসের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।