যান্ত্রিক ত্রুটি, নির্দোষ যাত্রীদের মারধর ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এমভি সুরভী-৯ লঞ্চের যাত্রা বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ। রোববার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, লঞ্চের যাত্রা বাতিল করার পাশাপাশি নির্দোষ যাত্রীদের মারধর ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লঞ্চের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার ঘটনায় সুরভী-৯ লঞ্চের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ দুটি দায়ের করেছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চিত্র সাংবাদিক রুহুল আমীন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক মৃদুল ইসলাম মোহন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বরিশালের ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা।
এদিকে এই দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টস ইউনিটি, সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগেও লঞ্চের স্টাফ মিজানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ ছিল। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় এমভি সুরভী-৯ লঞ্চটি। মাঝপথে ইঞ্জিনে ত্রুটি ও আগুনের ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে যাত্রীরা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ৯৯৯ এর সহায়তা নিলে চাঁদপুরের মোহনগঞ্জে লঞ্চটিকে নোঙ্গর করানো হয়। পরে রোববার (০৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ফেসবুকে ছবি দেওয়ায় ও পুলিশকে জানানোয় যাত্রীদের মারধর করে লঞ্চের স্টাফরা। যার চিত্র ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন দুই চিত্র সাংবাদিক।