আলোচিত-সমালোচিত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ৯৯৯ থেকে বিষয়টি ধানমন্ডি থানা পুলিশকে জানানো হয়। বর্তমানে পুলিশের একটি টিম সেখানে (মুরাদের বাসায়) অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমে জানান, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ আনেন তিনি। এ ব্যাপারে জাহানারা এহসান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেন জানান ওসি।
নানা সময়ে রাজনীতির ভেতরে-বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুরাদ হাসানকে। সবশেষ বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়া নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
এই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয় ডা. মুরাদের। এরপরই বেকায়দায় পড়ে যান মুরাদ। এমন কর্মকাণ্ডে চটে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে।
এরপরই শুরু হয় দলের অ্যাকশন৷ অব্যাহতি দেয়া হয় মুরাদের জেলা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদকের পদ থেকে। একে একে উপজেলা, ইউনিয়নের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এরইমধ্যে আত্মগোপনে চলে যান এই রাজনীতিক। আত্মগোপনে থাকাবস্থায় জমা দেন পদত্যাগপত্র। গৃহীত হওয়ায় মন্ত্রীপরিষদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন ডা. মুরাদ।
পরে হঠাৎ করেই খবর শোনা যায় দেশ ছাড়ছেন মুরাদ। যাচ্ছেন কানাডা। কিন্তু সেখানেও ভাগ্য সহায় হয়নি তার। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের জেরার মুখে আর দেশটিতে ঢোকার সুযোগ পাননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। পরে চলে যান দুবাই। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে মুরাদ হাসান গত ১২ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন।
দেশে ফেরার পর ডা. মুরাদ এখন কোথায় আছেন, সেই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ দিলেন।