স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর ছিদ্দিকীর আদালত মঙ্গলবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে আশিকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পরে আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারী পর্যটককে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে সেদিন রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
ঘটনার পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন জনসহ মোট সাতজনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে মাদারীপুর থেকে আত্মগোপন অবস্থায় আশিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, চাঁদা ‘না দেওয়ার’ কারণে কক্সবাজারে ওই নারী পর্যটককে ধর্ষণ করার কথা আশিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সকালে আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে নেওয়া হয়। আশিক কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।