ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় মো. রাসেল (৩৮) নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৮। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্বয়ক ডা. সামান্ত লাল সেন।
তিনি জানান, রবিবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ রাসেল মারা যান। তার শরীরের ১৮ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিলো।
এ নিয়ে ঝালকাঠির লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেলেন চার জন। আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সর্বশেষ রবিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তামিম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, দগ্ধ তামিম নিবিড় আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিল। তার শরীরের ৩০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় আইসিইউতে মৃত্যু হয় শাহিনুর খাতুন স্বপ্না (৪০) নামে এক নারীর। আর দুর্ঘটনার পরদিন রাতে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হাবিব খান (৪৫) নামে একজন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নলছিটি অতিক্রম করে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই এ আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।