সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তিতে পুনর্বহাল হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। খবর: বিবিসির। প্রতিবেদনটিতে আবদাল্লাহ হামদকের পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
পদত্যাগের ঘোষণার সময় আব্দাল্লাহ হামদক বলেন, ‘সুদানের গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য একটি নতুন চুক্তির প্রয়োজন ছিল, যেটা আমরা করেছিলাম। তবে চুক্তি অনুযায়ী যে দায়িত্ব পেয়েছিলাম আমি তা ফিরিয়ে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি। মহান এই দেশের নেতৃত্বের জন্য অন্য কোনো পুরুষ বা নারীকে সুযোগ করে দিচ্ছি, যিনি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে সুদানকে একটি বেসামরিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পথে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করতে পারেন।’
গত ২৫ অক্টোবর সুদানের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। সেসময় তারা প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককেও গৃহবন্দী করে। পরবর্তীতে সেনা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়াদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির পর তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি অনেকে। এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা শুরু হয়। গতকাল রবিবারও রাজধানী খার্তুম ও ওমদুরমান শহরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ‘জনগণের কাছে শক্তি’ স্লোগান দেয় এবং সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে আবদাল্লাহ হামদক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ভাষণে আবদাল্লাহ হামদক বলেন, সুদানের পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে, যা দেশের সমগ্র অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তিনি দেশটিকে বিপর্যয়ের দিকে চলে যাওয়া থেকে থামানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। সম্মতিতে পৌঁছাতে তার সব চেষ্টা থাকলেও তা হয়নি।