মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এলিট ফোর্স র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন ড. আব্দুল মোমেন। সেখানে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডে র্যাবের ভূমিকাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক তথা আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তফা সরওয়ার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও আনোয়ার লতিফ খান এবং বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।
নিষেধাজ্ঞার পরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন নিষেধাজ্ঞা খুবই দুঃখজনক। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নিজেও সারপ্রাইজ।