বছর শুরুর দিনই দেখা দিয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকার আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মাসে থার্মোমিটারের পারদ নামতে নামতে ৪ ডিগ্রির ঘরে ঠেকতে পারে।
বর্তমানে পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এখন হালকা অবস্থায় থাকলেও এটি আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি হালকা (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও দুটি মাঝারি থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
এ ছাড়া চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল এবং নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে। আগামী কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে শীত বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এই অবস্থায় আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। সোমবার নাগাদ রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এত দিন রাজধানী ও চট্টগ্রামের আকাশে মেঘ বেশি থাকায় শীত খুব একটা বাড়েনি। গতকাল শনিবার মেঘ সরে গিয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এই দুই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেড় থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছীতে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলা, ঈশ্বরদী ও সীতাকুণ্ডে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।