আগামী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবারও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে সিলেকশনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আগামী ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) ভর্তির আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়মাবলি প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, অনলাইনে ভর্তির জন্য আদেন ফি ১৫০ টাকা। সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে একজন শিক্ষার্থী। যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে মেধা কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপতি নিষ্পত্তি করা হবে ১৭ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে। আবেদন পছন্ক্রম পরিবর্তন করা যাবে আবেদনের দিন থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ২৯ জানুয়ারি রাত ৮টায়। সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে প্রথম পর্যায়ের সিলেকশন বাতিল হবে এবং আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ ৭ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায়। সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে এবং নতুন করে আবেদন করতে হবে।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন করতে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে। পছন্দক্রম অনুযায়ী মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তি ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।
প্রতিবন্ধী ছাড়া কাউকেই অনলাইন ব্যতীত ম্যানুয়ালি কোনও ভর্তি করা যাবে না।
ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৫ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসন কার্যকর থাকবে না।
প্রতিবন্ধী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রবাসীদের সন্তান, বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বা খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বরপ্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
যদি প্রার্থী বাছাইয়ে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।