করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবার আরও দুটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ট্যাবলেট দুটির অনুমোদন দেওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
তারা জানায়, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
অধিদফতরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন জানান, কোম্পানি দুটি তাদের কাছে আবেদন করেছিল। আজ তা (প্যাক্সলোভিড) ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার নতুন উদ্ভাবিত নিরম্যাট্রেলভির ওষুধের সঙ্গে প্রচলিত রিটোনাভিরের সংমিশ্রণে প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট তৈরি করেছে। বাংলাদেশের এসকেএফ তাদের ওষুধটি বাজারজাত করবে প্যাক্সোভির নামে। আর বেক্সিমকো এই ওষুধ বাজারে আনছে বেক্সোভিড নামে।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার দু’টি ওষুধ আজ থেকে দেশে বাজারজাত হয়েছে। ওষুধ দুটি হলো— নিরমাট্রেলভির ও রেটিনোভি। মূলত এদুটি ওষুধই ‘বেক্সোভিড’ নামে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছেড়েছে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, ‘এক ডোজের দাম তিন হাজার টাকা। পাঁচ দিন খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম পড়বে ১৬ হাজার টাকা। ওষুধগুলো বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকার তৈরি ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী করোনা আক্রান্তরা এই ওষুধ সেবন করতে পারবে। এটা আমাদের দেশে করোনা চিকিৎসার জন্য মাইলফলক। এই ট্যাবলেটের কার্যকারিতা ৮৮ ভাগ বলে জানা গেছে। করোনার জন্য বিশ্বের যেকোনও দেশে নতুন ওষুধ বের হলে, তা আমরা দ্রুত দেশে নিয়ে আসি মানুষের জন্য।’