কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে ‘বিশেষ জোন’ উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমালোচনার মুখে তা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের জন্য চালু করা বিশেষ জোনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি আমরা। মূলত নারী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ১৫০ ফুটের বিশেষ এলাকাটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন থেকে সৈকতে বিশেষ এলাকা থাকবে না। সমুদ্র সৈকত আগের মতো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিজিবি পরিচালিত উর্মি গেস্ট হাউস থেকে সিগাল পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে নারী ও শিশুদের জন্য তৈরি করা ‘বিশেষ জোন’ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।
তখন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছিলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে এসে সাগরে নেমে গোসল করেন পর্যটকদের একটি বড় অংশ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন নারীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বস্তি নিয়ে গোসল করতে নারীদের জন্য এই বিশেষ জোন তৈরি করা হচ্ছে।
ডিসি বলেন, এখন থেকে রক্ষণশীল নারী পর্যটকেরা এই পয়েন্টে নেমে স্বস্তিতে গোসল করতে পারবেন। এর জন্য সব সময় বিশেষ নজর রাখবো আমরা। নারীদের জন্য তৈরি করা এই জোনে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক নারী ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য ও নারী বিচকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। তারা গোসল করতে নেমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাবেন। ইতিমধ্যে সৈকতের নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।
সম্প্রতি কক্সবাজারে এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের স্বস্তিতে বিচরণের বিষয়টি আলোচিত হয়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
তবে এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে সমালোচনা হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জেলা প্রশাসন।