খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) আজ। এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যীশুখৃষ্ট। দুই হাজার বছর আগের এই শুভদিনে বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করেন যীশু। তাই এদিনটিকে “বড়দিন” হিসেবেই পালন করছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন বড়দিন হলো পুনর্জন্ম, নতুন শুরু, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্কের নবজীবন দেয়ার উৎসব।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। গির্জায় প্রার্থনা শুরু ও শেষের পর গাওয়া হয় বড়দিনের বিশেষ গান ও বন্দনা সংগীত। বাংলাদেশেও উপযাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন।
তবে গতবছরের মতো এবারও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নতুন বাস্তবতার মাঝে পালিত হচ্ছে বড়দিন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গির্জায় প্রার্থনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠির মাধ্যমে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত করে পালিত হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে “থার্টি ফার্স্ট নাইট” উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।”
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়া বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।