চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে করোনার টিকার বুস্টার ডোজের প্রাথমিক ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
রবিবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে প্রাথমিক ট্রায়াল শুরু হবে। পরে বয়স্কদের টিকা দেয়া হবে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই তথ্য দেন মঈনুল আহসান।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বড় করে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে না। যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই আমরা শুরুতে সতর্কতামূলকভাবে কিছু জনগোষ্ঠীকে দিয়ে শুরু করি। এরপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বড় আকারে শুরু করি। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে যাচ্ছে।
মঈনুল আহসান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করব। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা অবশ্যই বয়স্কদের আনব। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোমরবিড কন্ডিশন আমরা বিবেচনায় রাখব।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামীকাল থেকে দেশে করোনার বুস্টার ডোজ শুরু হবে। ওনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করছিলাম।
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মঈনুল আহসান বলেন, আগামীকাল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিকভাবে খুব সীমিত আকারে এটা শুরু করা হবে। তবে সীমিত পর্যায়ে শুরু করলেও পরে ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যাবে। আমরা আশা করি টিকার যে সরবরাহ রয়েছে, এতে কোনো ঘাটতি হবে না।
ঢাকা সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি হলো সক্ষমতা এবং আমাদের টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ। আমরা প্রথমে একটি ডোজ দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বলে তাই সরকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারির যোদ্ধা আছেন, তাদেরকে মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাল থেকে দেওয়া শুরু করব।