রাজধানীর বনানীতে এক বিচারপতির ছেলের প্রাইভেটকারের চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্যসের পা হারানোর ঘটনায় অবশেষে তার মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা গ্রহণ করেছে বনানী থানা। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর আজ বৃহস্পতিবার মামলা নেওয়া হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।
মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আজকেই মামলাটি থানায় রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫।’
গত ২ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গাড়ির ধাক্কায় মারাত্বক আহত হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। এরপর থেকে মামলার অভিযোগ নিয়ে ঘুরছিলেন তার মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে মনোরঞ্জনের ডান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এবং পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। আগে থেকেই হার্টের রোগী অবসরপ্রাপ্ত এই বিজিবি সদস্যকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই মামলা করতে বহুবার চেষ্টা করেন মনোরঞ্জনের মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। কিন্তু মামলা নেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
মামলা নিতে সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি।’
ঘটনার দিন রাতে রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন ইউটার্নের মুখে দুর্ঘটনার শিকার হন মনোরঞ্জন হাজং। যে গাড়ির ধাক্কায় তিনি আহত হন, সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন একজন বিচারপতির ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে বিচারপতির ছেলেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ এবং ও গাড়িটি জব্দ করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পরই ছাড়া পেয়ে যান ওই চালক।