রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
একাত্তরে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের যে মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে রায়েরবাজারে হাজির হন মন্ত্রী, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শীত আর করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে হাতে ফুল নিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে মানুষ।
মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে হেঁটে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সারিবদ্ধভাবে হাতে ব্যানার ও ফুলের তোড়া নিয়ে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তারা। শ্রদ্ধার ফুলে মুহূর্তের মধ্যেই ভরে যায় বধ্যভূমির বেধি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে বধ্যভূমি এলাকা। উচ্চারিত হচ্ছে- শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ভয় করি না মরণে/পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে চলে যা/বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাংলাদেশের ঐতিহ্য/মৌলবাদী শক্তি হুঁশিয়ার, সাবধান/বঙ্গবন্ধুর বাংলায় মৌলবাদের ঠাঁই নাই।
বাংলাদেশের বিজয়ের ঊষালগ্নে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আজকের এই দিনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি ঘাতকরা, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করা। আর তাদের সহযোগিতা করে এদেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা।