যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ভ্যারিয়েন্টে দেশটিতে প্রথম একজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের কাছে একটি টিকাদান ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, “হ্যাঁ, দুঃখজনকভাবে ওমিক্রন লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করছে। দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর নতুন এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান। ওমিক্রন প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ ‘সর্বোত্তম’ কিছু হতে পারে।”
ওমিক্রনকে করোনাভাইরাসের মৃদু সংস্করণ বলে মানুষের মধ্যে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, সেটিকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, কোনো না কোনোভাবে ভাইরাসের এই সংস্করণকে মৃদু হিসেবে মনে করার ধারণা আমাদের দূরে সরিয়ে রাখা দরকার।”
সোমবার সকালের দিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে প্রায় ১০ জন মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ এ ধরনকে প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট নয়। তবে বুস্টার ডোজ ওমিক্রন থেকে ৭০ থেকে ৭৫% সুরক্ষা দেয়।
স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস রোগীদের ৪০% ওমিক্রনে আক্রান্ত। অভূতপূর্ব গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাসটি। প্রতিদিনই এতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বাড়ছে। এত ব্যাপক সংক্রামক ভাইরাস এর আগে আমরা দেখিনি।”
এর আগে রবিবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটিতে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হবে বলে জানান তিনি। দৈনিক ১০ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটির সরকার।