পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও সাতজন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে চারাবটতলা এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। নিহত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ইয়াছিন আলী। তিনি ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহামুদ খানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আটজন আহত হন।
আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনের অবস্থা অশঙ্কাজনক হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাজশাহী নেওয়ার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলী মারা যান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম (অপরাধ) জানান, থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।