প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিদেশি কর্মীদের জন্য খুলছে। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এ ছাড়া কভিড মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নিয়োগ দিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই এমওইউ স্বাক্ষর করার পরপরই মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু করবে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, আগে শুধু বনায়ন খাতে বিদেশি কর্মী নেওয়া হতো। এখন সব খাতই বিদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বনায়ন, কৃষি, উৎপাদন, সেবা, খনিজ সম্পদ আহরণ, নির্মাণ খাতে ও গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, কভিড বিস্তার ঠেকাতে বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারের্টি প্রসিডিউর (এসওপি)’ হালনাগাদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সহযোগিতা করবে। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিদেশিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টিও থাকবে।
এর আগে গত সপ্তাহে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম) এক বিবৃতিতে জানায়, শিল্প খাতে আগামী বছর নাগাদ তাঁদের ছয় লাখের বেশি শ্রমিক লাগবে। রপ্তানিভিত্তিক কম্পানিগুলোতে এই শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী আছে। ২০১৮ সালে প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে দুই দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল। সে সময় অন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এর প্রতিবাদ জানায়। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে শ্রমবাজার বন্ধ আছে।