মিরপুরে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও ম্যাচটি বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ইনিংস এবং ৮ রানে হেরে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের হলো টাইগাররা। পাকিস্তানের করা ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅনে পড়লে আবারও ব্যাট করে। দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২০৫ রান।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষে ফলোঅনে পড়লে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এ সময় ম্যাচ ড্র করা ছাড়া কিছুই করার ছিল টাইগারদের। কিন্তু সেই কাজটাও ততটা সহজ ছিল। কেননা ম্যাচ ড্র করতে হলে দিনের শেষ পর্যন্তই খেলতে হতো মুমিনুলদের।
কিন্তু পুরো খেলা তো দূরের কথা হাসান-শাহিনের বোলিং তোপে ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬ রানে জয়, ২ রানে সাদমান, ৬ রানে শান্ত এবং ৭ রানে আউট হন মুমিনুল।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক এবং লিটন মিলে ধৈর্যে্যর পরীক্ষাই দিচ্ছিলেন। এ সময় দেখে-শুনেই খেলছিলেন দুজনে। কিন্তু ৭৩ রানের জুটি গড়ার পর সাজিদ খানের বলে বাজে শট খেলে আউট হন লিটন। আউট হওয়ার আগে করেন ৪৫ রান।
পরের উইকেট জুটিতে এবার সাকিবকে নিয়ে মাটি কামড়েই ব্যাট করছিলেন মুশফিক। কিন্তু সুক্ষ্ম রান আউটে বিদায় নিতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। নওমান আলীর বলে সাকিব আল হাসান সিঙ্গেল নিতে গেলে মুশফিক স্ট্রাইক এন্ডে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। বেশ কয়েকবার টিভি রিপ্লে দেখে তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আউট হওয়ার আগে ৪৮ রান করেন তিনি।
লিটন এবং মুশফিক আউট হলে মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যান সাকিব। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন তিনি। এরপর মিরাজ ৭০ বলে ১৪ রান করে আউট হলে সাকিবও ফেরেন ৬৩ রানে। এছাড়া শূন্যরানে খালেদ এবং ৫ রানে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন এবাদত।
এর আগে দিনের শুরুতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ ওভারে ১১ রান তুলে শেষ তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।