মিরপুরে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের দুই দিনই বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের এমতাবস্থায় ফলোনের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে পাকিস্তান।
মিরপুর টেস্টে প্রথম দিনে দুই সেশন খেলা হলেও ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পরের দুই দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে মাত্র ৬.২ ওভার। এরপর চতুর্থদিনের খেলায় আবারও ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান। তাদের ইনিংসে শেষ হলে ব্যাট করার সুযোগ পায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু খেলতে নেমে পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ বিকেলের খেলায় বাংলাদেশ হারিয়ে সাতটি উইকেট। এর মধ্যে একটি রানআউট। বাকি ছয়টি উইকেট একাই তুলে নেন এই পাকিস্তানি স্পিনার।
শূন্যরানে অভিষিক্ত জয়কে আউট করার পর ৩ রানে সাদমানকে ফেরান সাজিদ। আর তার ওভারেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত খাতায় তার সংগ্রহ ১ রান। এরপর একে একে ফেরেন আরও চারজন ব্যাটসমন। ৩০ রানে শান্ত, ৫ রানে মুশফিক, ৬ রানে লিটন এবং শূন্যরানে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ। এদিকে তাইজুলকে নিয়ে দিনশেষ করেন সাকিব আল হাসান। ২৩ রানে সাকিব এবং শূন্যরানে তাইজুল অপরাজিত থাকেন।
এর আগের দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামেন পাকিস্তানের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বাবর আজম এবং আজহার আলি। দিনের দশম বলেই আঘাত হানেন এবাদত। উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আজহার আলিকে। আউট হওয়ার পূর্বে ১৪৪ বল খেলে ৪৪ রান করেন তিনি।
এরপর দিনের ষষ্ঠ ওভারের খেলা আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাবর আজমও। খালেদ আহমেদের বলে এলবিডব্লউ হওয়ার আগে ব্যক্তিগত খাতায় ৭৬ রান সংগ্রহ করেন পাকিস্তানি দলনেতা।
দিনের শুরুতে বল হাতে বাংলাদেশের বোলাররা দাপট দেখালেও পঞ্চম উইকেট জুটিতে ব্যাট হাতে রীতিমতো শাসন করতে থাকেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফাওয়াদ আলম। দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ১০৩ রানের জুটি।
আর এর মধ্যেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিজওয়ান ও ফাওয়াদ। ৯৪ বলে চারটি চার এবং একটি ছয়ের সুবাদে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। এদিকে সাতটি চারের মারে ৯৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাওয়াদ।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।