জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ করলেন সালমা-সুলতানারা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একদিনের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করছেন টাইগ্রেসরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিসির টুর্নামেন্ট প্রধান ক্রিস টেলি।
দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে রোডেশিয়ানদের মাটিতে স্থগিত হয়েছে মেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাই।
আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারীদের বৈশ্বিক আসরটি। তাই বাছাই পর্বের বাকি ম্যাচগুলোর নতুন সময় নির্ধারণ করতে পারছে না আইসিসি। সেকারণে তারা র্যাংকিং বিবেচনায় মূলপর্বে কোয়ালিফাই করেছে বাকি তিনটি দলকে।
ক্রিস টেলি বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টটি বাতিল হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ। কিন্তু খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে। দলগুলো না ফিরতে পারার শঙ্কাও আছে। তাই টুর্নামেন্ট বাতিল করতে হয়েছে।’
আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ম্যাচে লঙ্কানদের একজন সাপোর্ট স্টাফ করোনা আক্রান্ত হন। তাতেই ম্যাচটি শুরুর আগেই বাতিল করে আইসিসি। আর এরপর পুরো আসরটিকে বাতিল করে দেন বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির টুর্নামেন্ট প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু বিকল্প উপায়ে আসরটি সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটি সম্ভব নয়। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত দল গুলোকে জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরত পাঠাবো। র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে আইসিসি মহিলা বিশ্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’
নিউজিল্যান্ডে একদিনের বিশ্বকাপে অংশ নেবে আট দল। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সরাসরি খেলবে। এছাড়া বাছাই পর্ব পেরোতে আসা বাংলাদেশ সহ পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল খেলবে কিউইদের ডেরায়।
যদিও জিম্বাবুয়ের মাটিয়ে দুর্দান্ত ছিল নিগার সুলতানার দল। গ্রুপ পর্বে প্রথম তিন ম্যাচে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দাপুটে দুই জয় তুলে নিয়েছিল তারা। থাইল্যান্ডের কাছে হারলেও রান রেটের ব্যবধানে গ্রুপের শীর্ষে ছিলেন তারা। বাকি ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল স্বাগতিক জিম্বাবুইয়ান মেয়েদের হারিয়ে সুপার সিক্স রাউন্ড নিশ্চিতও করতে পারতেন সহজে। পরে সেখানে সেরা তিনে থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নারীদের জন্য এবার সহজই ছিলো।
তবে বাংলাদেশের গ্রুপে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা থাইল্যান্ড নারীদের আক্ষেপ থাকতেই পারে। দুর্দান্ত দুই জয়ে তারা গ্রুপে দারুণ অবস্থানে ছিলেন। সুপার সিক্সে যাওয়ার পর সেরা তিনে থাকার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তারা। এদিকে, বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড নারীরা। তবে আইসিসির পরবর্তী চক্রে নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দলগুলোর সঙ্গে যোগ দিতে পারবে দল দুটি।