আলিনগরের গোলকধাঁধা (২০১৮)
বাংলা ইতিহাস এবং গোলকধাঁধায় দারুণ ভাবে ফেঁসে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণ।
[ নো_স্পয়লার ]
দেখার সময় বারবার ভাবছি এত জটিল স্ক্রিপ্ট কেমনে লিখেছে আর পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল কেমনেই বা এত অসাধারণ ভাবে সবকিছু তুলে ধরেছে! যাইহোক বাংলার ইতিহাস এবং ধাঁধা নিয়ে এগিয়েছে মুভি যেখানে ছিল অ্যাডভেঞ্চার, মিস্ট্রি এবং থ্রিলার। মুভি শেষ করার পরেও সেসব ধাঁধার মাঝে আটকে আছি।
নবাব সিরাজুদ্দৌলা, মীরজাফর, ঘঘেটি বেগম, লর্ড ক্লাইভ এসব নাম আমরা সবাই শুনেছি। আমরা সবাই সমাজ বইয়ে এসবের ইতিহাস জেনেছি। আবার এইটাও জেনেছি কলকাতার আগের নামছিল আলিনগর। আর এই নাম দিয়েছিল নবাব সিরাজুদ্দৌলা তার শাসন আমলে। তো সেই সময় তার কত মূল্যবান জিনিস ছিল। সেই মূল্যবান জিনিস গুলোর মধ্যে একটি মূল্যবান জিনিসের সন্ধানে এই মুভি। আর এই মূল্যবান জিনিস খুঁজে বের করতে হবে ধাঁধার মাধ্যমে। যা কিনা ২৭ বছর ধরে কেউ ধাঁধার উত্তর মিলাতে পারেনি। তাহলে কি কেউ ২৭ বছর পর সেই সব ধাঁধার উত্তর মিলাতে পারবে? কি বা ছিল সেই মূল্যবান জিনিস?
অনির্বাণ ভট্টাচার্য অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। এই মুভিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে। আর তার চরিত্রে সে দারুণ অভিনয় করেছে একদম মনোমুগ্ধকর। তার সাথে পার্নো মিত্র ভালো ভাবেই সঙ্গ দিয়ে গেছে পুরোটা জুড়ে। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে চরিত্রেই অভিনয় করুক না কেন সেরা অভিনয় করে। কৌশক সেনও বেশ ভালো ছিল। তবে ভিলেনের অভিনয় তেমন একটা ভালো লাগেনি। এছাড়া অনেকে অভিনয় করেছে তারা যার যার জায়গায় ভালো ছিল।
সিনেমাটোগ্রাফি দারুণ লেগেছে। কিছু জায়গার ক্যামেরার কাজও খুব ভালো ছিল। প্রতিটি ঐতিহাসিক লোকেশন গুলো বেশ লেগেছে। যে বিজিএম ব্যবহার করা হয়েছে তা যেন একদম পারফেক্ট ছিল। সবকিছুর পর আমি বলবো যারা ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তাদের জন্য মাস্ট ওয়াচ মুভি। তো দেখে ফেলুন।