সাধারণ লোক যে সব বোতলজাত জল কিনে পান করেন সেই সব জল খোলা বাজারে ১ লিটারের দাম সাধারণত কুড়ি টাকা। সেখানে বিশ্বের অন্যতম ধনী, ভারতের রিলায়্যান্স কোম্পানির মালিক মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী নীতা আম্বানী যে জল পান করেন, তার দাম শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন।
দাবি করা হয়, নীতা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জল পান করেন। ১ লিটার নয়, ৭৫০ মিলিলিটার একটি জলের বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি। তা হলে এ বার হিসেব করে দেখুন, নীতার পান করা এক ঢোক জলের দাম কত! দাম না হয় জানলেন। দাম জানার পর আপনি বলতেই পারেন এই জল কি সোনা দিয়ে তৈরি? তা হলে জেনে রাখুন, এই পানীয় জলের দাম কেন এত বেশি।
স্বাস্থ্যকে তরতাজা রাখতে যে জল নীতা পান করেন তার নাম ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলের মধ্যে একটি। বোতলজাত এই জল আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে।
দাবি করা হয়, এই জলে মেশানো থাকে একেবারে নির্ভেজাল স্বর্ণভস্ম। প্রতি ৭৫০ মিলিলিটার জলে থাকে ৫ গ্রাম স্বর্ণভস্ম। যা মনুষ্যদেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। সে জন্যই এই জলের দাম এত। শুধু জল নয়, এই জল যে বোতলে থাকে, সেই বোতলের জন্যও এই জলের দাম এত বেশি। ২০১০ সালে ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’ গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলের বোতল হিসেবে খেতাব পেয়েছিল।
বোতলের নকশা তৈরি করেছেন ফার্নান্দো আলতামিরানো। চামড়ার খাপে থাকে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এই বোতল। এই ব্র্যান্ডের সবচেয়ে সস্তা বোতলের দাম ২৫ হাজার টাকা। শুধু জল নয়, নীতা আম্বানি যে কাপে চা পান করেন, সেই কাপও সোনা দিয়ে তৈরি। এ কথা তিনি নিজেই বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে।
সোনার কাপে চা খেলে নাকি স্বাস্থ্য এবং ত্বক ভাল থাকে৷ শুধু কাপই নয়, তাঁর এক কাপ চা তৈরি করতে নাকি খরচ পড়ে যায় প্রায় ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি! কারণ, তাঁর চায়ের পাতা খুবই দামী এবং সেটা অবশ্যই বিদেশ থেকে আমদানি করা।