তৃতীয় ধাপে আগামীকাল রবিবার দেশের এক হাজারটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এদিন দেশের নয়টি পৌরসভায়ও ভোটগ্রহণ করা হবে।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন। আগের দুই পর্বের মতো সহিংসতার ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে কমিশন।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আইন শৃঙ্খলরক্ষায় নিয়োজিত সদস্য, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা মাঠে রয়েছেন। শনিবার নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।
তৃতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল এক হাজার সাতটি ইউনিয়নের। বিভিন্ন কারণে স্থগিত হয়েছে সাতটি ইউনিয়নের ভোট। রবিবার ভোট হবে এক হাজারটি ইউনিয়ন পরিষদে। এসব ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা দুই কোটি এক লাখ ৪৮ লাখ ২৭৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১০ হাজার ১৫৯টি। ভোটকক্ষ ৬১ হাজার ৮৩০টি।
এই পর্বে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬৯ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ১০০ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ৩৩৭ জন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫০ হাজার ১৪৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চার হাজার ৪০৯ জন চেয়ারম্যান পদে, ১১ হাজার ১০৫ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে এবং ৩৪ হাজার ৬৩২ জন সাধারণ সদস্য পদে।
প্রথম দুই ধাপে এক হাজার ২০০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৪০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম ধাপে তফসিল আগামী শনিবার ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
এবারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বেশির ভাগ ইউনিয়নে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এতে সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় তিন ডজনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।