বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী জুনেই স্বপ্নের এই সেতু খুলে দেওয়া হতে পারে যানবাহন চলাচলের জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বসেছে আটটি ল্যাম্পপোস্ট। পুরো সেতুতে ৪১৬টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হবে, যা সেতুকে করবে আলোকিত। আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্ট বা সংযোগ সেতুর এস৭ ও এস৮ নম্বর খুঁটির মধ্যবর্তী স্থানে স্টিলের তৈরি ল্যাম্পপোস্টের মূল কাঠামো স্থাপন শুরু হয়।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুর রহমান জানান, এসব কাঠামো চীন থেকে আনা হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন আগে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতুর মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ৯৫টি ল্যাম্পপোস্টের কাঠামো নিয়ে আসা হয়।
শফিকুর রহমান জানান, সংযোগ সেতুসহ পুরো সেতুতে মোট ৪১৬টি ল্যাম্পপোস্ট বসবে। এর মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের সংযোগ সেতুতে বসবে ৮৮টি ল্যাম্পপোস্ট। সেতুর মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সেতুর যে পথ ধরে যানবাহন নামবে সে পথে বসানো হবে ২০টি ল্যাম্পপোস্ট। আর মাওয়া প্রান্তের যে পথে যানবাহন উঠবে সেখানে স্থাপন হবে ২২টি ল্যাম্পপোস্ট। সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যানবাহন নামার পথে ২৪টি ও ওঠার পথে ২২টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হবে।
এদিকে পদ্মা সেতুতে রেলিং বসানো শেষ হয়েছে। পুরো সেতুজুড়েই এখন রেলিং। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু মুভমেন্ট জয়েন্টের জন্য কয়েকটি বসানো হয়নি। তাদের হিসাবে বুধবারই রেলিং-প্যারাপেট ওয়াল বসানো শেষ।
গত ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুর সড়কপথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ এবং মূল সেতুর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।