প্রকাশ্য হাটে বিক্রি করা হচ্ছে সুন্দরী কুমারীদের। তাও আবার সেটা করছেন তাদের বাবা-মায়েরাই। এ সব ঘটনা ঘটে বুলগেরিয়ার স্তারা জাগোরা অঞ্চলে। আসলে অত্যন্ত দরিদ্র্য এই অঞ্চলের বাবা মায়েরা অর্থের অভাব-অনটনে অনেক সময়ই মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না।
তাই বাবা-মায়েরা কিছু অর্থ পাওয়ার জন্য মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেন। তবে অর্থের পরিমাণ যত বিপুলই হোক না কেন, সেটা খুব একটা বড় কথা নয়। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাঁর কাছেই মেয়েকে বিক্রি করা হয়, যিনি সেই মেয়েকে বিয়ে করে তাঁদের সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তুলতে চান।
তাই সুন্দরী মেয়েরাও আর আপত্তি করেন না। হাট থেকে সব চেয়ে বেশি দাম দিয়ে যিনি তাঁকে কিনে নেন, সেই ক্রেতার সঙ্গেই সারা জীবনের জন্য ঘর সংসার করতে চলে যান।
বহু যুগ ধরে এই অঞ্চলের রোমা জনগোষ্ঠীর মেয়েদের এ ভাবেই বিয়ে হয়ে আসছে। এই রোমা জনজাতিকে বুলগেরিয়ার কেউ কেউ আবার কালাইদঝিও বলেন। তবে পাত্রীর দাম কত হবে, তা নির্ভর করে তাঁর রূপের ছটা আর সাজগোজের বহর দেখে। ফলে যতটা না সুন্দর মেয়ে, নানান রকম প্রসাধনী দিয়ে তার চেয়ে হাজার গুণ সুন্দরী করে তোলা হয় তাঁকে।
এ জন্য ওই সমাজে মেয়েদের সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়ার জন্য তালিম প্রাপ্ত বেশ কিছু অভিজ্ঞ লোকও আছেন। তাঁরা এই সব কলাকৌশল করে স্ত্রী কিনতে আসা পুরুষদের যতটা পারেন নজর কাড়ার চেষ্টা করেন। আর যত বেশি নজর কাড়তে পারেন, মেয়ের দামও নিলামে চড়চড় করে তত বাড়তে থাকে। আর মেয়ের দাম বাজার দরের চেয়ে বেশি উঠলেই, ওই মেয়ের বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাঁরা শুধু পারিশ্রমিকই পান না, তার সঙ্গে পান বাড়তি কিছু বকশিসও।
আর মেয়ে যত বেশি দামে বিকোয়, মেয়ের বাবা-মায়েরা তত বেশি খুশি হন। না, তাঁরা যে অনেক বেশি অর্থ পাচ্ছেন, শুধু সে জন্য নয়। খুশি হওয়ার অন্যতম কারণ হল, তাঁদের জাতে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, যেটা বাংলা করলে দাঁড়ায়— যে যত বেশি দাম দিয়ে মেয়ে কেনে, সেই মেয়ের সংসার ভাঙার সম্ভাবনা তত কম থাকে।