জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান। এমন পরিস্থিতিতে কাকে দিয়ে বল করাবেন মাহমুদউল্লাহ? এমন যখন ভাবনায় তখন বল হাতে নিজেই আসলো টাইগার অধিনায়ক। শুরুর দুই বলেই তুলে নিলেন দুই অভিজ্ঞ পাকিস্তানি ব্যাটার সরফরাজ ও হায়দার আলীকে। অবশ্য হ্যাটট্রিক বলে খেয়ে বসলেন ছক্কা।
কিন্তু পরের বলেই তুলে নিলেন আরেকটি উইকেট। তখনও জয়ের সম্ভাবনায় ফিফটি ফিফটি। কিন্তু শেষ বলে বিতর্ক আর বহুল নাটক শেষে বাউন্ডারি খেলো মাহমুদউল্লাহ। একটি সম্ভাবনাময় জয়ের সমাপ্ত হলো হতাশায়। ঘরের মাঠে আগের দুই ম্যাচ হারের পর এবারের উত্তেজনাকর ৫ উইকেটের হারে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
আজ রবিবার দুপুর মিরপুর শেরে-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ছোট সংগ্রহ গড়ার পর শেষ ওভারের উত্তেজনায় হারে বাংলাদেশ। আর তাতেই আরও একটি লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে একাধিক ম্যাচের সিরিজে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল টাইগাররা।
এদিন হারের বৃত্ত ভেঙে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে এদিনও ব্যর্থ ছিলো ওপেনিং। ১ উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে তুলতে পেরেছিল টাইগাররা মাত্র ৩৩ রান। পরে আফিফ-শামিমদের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে কোনো মতে ১২৪ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এদিনও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভোগে টাইগাররা। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন উসমান কাদির এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্যে নেমেও টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকা ধীর হয়ে যায়। এদিনও পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি ভালো করতে পারেননি। শুরুতে আমিনুলের বলে বাবর ফিরলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে হারের শঙ্কা কমিয়ে দেন রিজওয়ান-হায়দার। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা রিজওয়ানকে ফেরালেও জয়ের পথেই থাকে পাকিস্তান।
সবটাই ঠিক ছিলো। কিন্তু শেষটা বাংলাদেশের পক্ষে আসলো না। গোড়াপত্তনের ওভারে মাহমুদউল্লাহ বলে করতে এসে তুলে নিলেন তিন পাকিস্তানি ব্যাটারকে। কিন্তু যা দরকার তা শেষ বলে চার মেরেই তুলে নেন নওয়াজ। নাটকীয় শেষ ওভারে পারেনি বাংলাদেশ। তবে স্নায়ুচাপের খেলায় সফরকারী পাকিস্তান ঠিকই পারলো। আর বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হলো ঘরের মাঠে।