ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও আশা জেগেছিল বোলারদের দুর্দান্ত শুরুতে। একটা সময় জয় মনে হচ্ছিল খুব দূরে নয়। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও নিজেদের শক্তি দেখালো পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসা বাবর আজমদের কাছে এবার ঘরের মাঠে ধরাশয়ী বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
আজ (শুক্রবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ১২৭ রান। এই সংগ্রহ নিয়েও লড়াই করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মাহমুদউল্লাহরা। তবে শেষ দিকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান ৪ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেলো সফরকারীরা। সমান্তরালে টানা ছয়টি টি-টোয়েন্টি হারলো বাংলাদেশ।
১৮ বলে দরকার ছিল ৩২ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব একটা কঠিন সমীকরণ না হলেও মিরপুরের উইকেটে মিলিয়ে দেওয়া সহজ ব্যাপার ছিল না। তার ওপর বোলিংয়ে আসেন প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৩ রান দেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু শুরুতে চমৎকার বল করা এই পেসারই বড় ধাক্কাটা দিলেন। ১৮তম ওভারে ‘ফিজ’ খরচ করলেন ১৫ রান। ফলে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ১২ বলে ১৭।
বোলিংয়ে আসা শরিফুল প্রথম দুই ডেলিভারি ঠিকঠাক করলেও তৃতীয় ও পঞ্চম বলে খেলেন দুই ছক্কা। ম্যাচ হাতের মুঠোয় নেওয়া পাকিস্তানের শেষ ওভারে দরকার পড়ে মাত্র ২ রান। গোটা ম্যাচে একবারের জন্যও বোলিংয়ে না আসা আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন শাদাব খান।
২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সফরকারীরা ম্যাচে ফেরে ফখর জামান (৩৪) ও খুশদিল শাহের (৩৪) জুটিতে। এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ স্বস্তি ফেরালেও শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ে আবারও হারের হতাশায় ডুবতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। শাদাব ১০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। আর নওয়াজ ৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন আহমেদ। এই পেসার ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেখ মেহেদী হাসান ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় পান ১ উইকেট। তার মতো একটি করে উইকেট শিকার মোস্তাফিজুর রহমান (১/২৬) ও শরিফুল ইসলামের (১/৩১)।