করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-সহাকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেডিকেল রেজিস্ট্রার অনুযায়ী গত জুলাই ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি বাবদ আদায় করেন প্রকাশ। যার মধ্যে তিনি ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন এবং অবশিষ্ট দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এর আগে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য খুলনা ২৫-০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে করোনা রোগী ও বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ফি আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ এনে ল্যাব টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে দুদকে তদন্ত সাপেক্ষে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।