আফ্রিকার দেশ সুদানে চলমান অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ করার সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও ১০ জন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক বিক্ষোভকারী। বুধবার রাজধানীর খার্তুম, বাহরি এবং ওমদুরমান শহরে বিক্ষোভ করার সময় তাদের মৃত্যু হয়। খবর আল জাজিরার।
সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর সুদানজুড়ে শহর ও নগরে অভ্যুত্থানবিরোধী গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দেশটির হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার খার্তুম, বাহরি এবং ওমদুরমান শহরে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নামে মানুষ।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। তার আগে শহরগুলোতে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। নিহতদের মধ্যে দুইজন রয়েছেন খার্তুমে, সাতজন বাহরিতে এবং একজন ওমদুরমানে।
সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদানিজ ডক্টরস (সিসিএসডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে ব্যাপকভাবে গুলি করেছে সেনাবাহিনী। এতে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুলি করার বিষয়ে সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২৫ অক্টোবর সুদানের শীর্ষ জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি ভেঙে দেন সার্বভৌম পরিষদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গঠন করা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন নতুন জাতীয় পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত এই পরিষদের প্রধান করা হয় সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি বুরহান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকসহ মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি করা হয়। সামরিক বাহিনীর অজ্ঞাত সদস্যরা তার বাড়ি ঘেরাওয়ের পর তাকে গৃহবন্দি করে। ২০২৩ সালে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।